Headlines
Loading...
ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে ২০০ জন কর্মী বিজেপি ও সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান

ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে ২০০ জন কর্মী বিজেপি ও সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান




আজিজুর রহমান, আজাদ বার্তা, গলসি :- আজ ২৮ শে আগস্ট তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠিতা দিবস। আর ওই প্রতিষ্ঠা দিবসে গলসি ১ নং ব্লকের চাঁকতেঁতুল অঞ্চলের রনডিহা বাজারে বিজেপি ও সিপিএম থেকে তৃণমূলে যেগদান করলেন ২০০ জন কর্মী সমর্থক। শুক্রবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে গলসী ১ নং ব্লকে চাঁকতেঁতুল অঞ্চলে একটি প্রতিবাদ মিছিল করা হয়। শেষে রনডিহা বাজারে একটি পথসভা করেন দলীয় নেতৃত্ব। আর সেই অনুষ্টানে শাঁলডাঙা এলাকার বিজেপি নেতা নিতাই আঁকুড়ে র নেতৃত্বে সিপিআইএম এর প্রাক্তন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা দীপা আঁকুড়ে, স্থানীয় বিজেপি নেতা বাবলু আঁকুড়ে, উত্তম আঁকুড়ে সহ দুশো জন কর্মী সমর্থক তৃনমুল যোগদান করলেন। 


জানা গেছে, এলাকার বিজেপি ও সিপিআইএম থেকে পঁচিশ ত্রিশটি পরিবারের দু শতাধিক কর্মী সমর্থক তৃণমুল কংগ্রেসে যোগদান করেন। তাদের হাতে দলীয় পতকা হাতে তুলে দেন বিধায়ক অলোক কুমার মাঝি ও চাঁকতেঁতুল গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অশোক ভট্টাচার্য। পাশাপাশি এদিন প্রায় আড়াইশো জন মানু‌ষের হাতে চাল ডাল সোয়াবিন ও সরষে তেল তুলে দেওয়া হয় অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস পক্ষ থেকে। 

শাঁলডাঙা এলাকার বিজেপি নেতা নিতাই আঁকুড়ে জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিজেপি করছিলেন। তবে দুর্দিনে বিজেপি থেকে এলাকার মানু‌ষের জন্য কোন রকম সাহায্য পাননি। এমনকি তাদের খোঁজ খবর কেউ রাখতো না। পাশাপাশি তৃণমূলের নেতা কর্মীরা লকডাউনের সময় থেকে তাদের এলাকার দুর্দশাগ্রস্ত অসহায় মানু‌ষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বারে বারে খাদ্য সামগ্রী দিয়ে সহায়তা করেছেন। এখনও প্রতিনিয়ত তাদের খোঁজ খবর নেয়। তিনি বলেন, যে দলের নেতারা বিপদে মানুষের পাশে থাকে না সেই দল না করায় ভাল বলে। মানুষের কাজ করতেই এদিন তিনি তৃণমূলে যোগদান করেছেন। 

বিধায়ক অলোক মাঝি জানান, চাঁকতেঁতুল অঞ্চলে দুশোজন কর্মী বিভিন্ন দল থেকে তাদের দলে যোগদান করেছেন। দল নেত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী কর্মকাণ্ডে সামিল হতে এমন উদ্দ্যোগ তাদের। তিনি বলেন, রাজ্য জুড়ে মমতা ব্যানার্জ্জী প্রতিনিয়ত মানুষের জন্য কাজ করছেন। মানুষ সবকিছু সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে তাদের দল থেকে। তাই লোকে আর বিজেপি বা অন্য দল করতে চাইছেন না। 

গলসি ১ নং ব্লক তৃনমূল কংগ্রেস সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, শালডাঁঙা গ্রামের বিজেপির নেতা কমীরা বেশ কিছুদিন ধরে তাদের দলে যোগ দেওয়ার জন্য তার সাথে যোগাযোগ করেছিলেন। তিনিও বিষয়টি এলাকার বিধায়ক অলোক মাঝি নজেরে এনেছিলেন। আজকের অঞ্চলের রনডিহা বাজারে দলীয় কর্মসুচী ছিল। আর সেই কর্মসুচিতে সিপিআইএম ও বিজেপি থেকে দুশো জন নেতা কর্মী তাদের দলে যোগদান করেছেন। তিনি বলেন তারা মানবিক দিদির দল করেন। তারজন্যই করোনা কালে ও লকডাউন এর সময় ওই এলাকার অসহায় পরিবারগুলিকে তারা প্রতিনিয়ত সহযোগিতা করেছিলেন। বিজেপি নেতারা ওই এলাকার মানুষের কোন খবর রাখতো না। তারাই সবসময় পাশে থাকতো। তাই ওই এলকার মানুষ ভুল বুঝতে পেরে তাদের দলে যোগদান করেছেন। 

0 Comments: