আজাদ বার্তা, বীরভূম, বীরভূমের দাপুটে নেতা কাজল শেখ কে খুনের চেষ্টা বানচাল করলো বীরভূম পুলিশ। পুলিশের জালে চার বাংলাদেশী সহ মোট ছয়জন। রবিবার শান্তিনিকেতন ও প্রান্তিক থেকে গ্রেফতার চার বাংলাদেশী সহ মোট ছয় জন। ধৃত স্থানীয় বোলপুরের খোসকদমপুরের বাসিন্দা সেখ আনোয়ার আলি, বোলপুরের মুলুক গ্রামের বাসিন্দা কাজল সেখ। তবে ওই দুইজন আসল বাড়ি নানুরের পাঁপুড়ি গ্রামে। ধৃতদের কাছে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু অস্ত্রসস্ত্র ও কার্তুজ। রবিবার পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে এদিন বোলপুর আদালতে তোলে। সেখান থেকেই চোদ্দ দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। শুরু হয়েছে পুলিশি তদন্ত। পাশাপাশি জেলা জুড়ে চলছে পুলিশি নজরদারী। সুত্র মারফৎ জানা গেছে, আনোয়ার বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে হাবড়া অশোকনগর হয়ে বোলপুরে নিয়ে আসে চার ভারাটিয়া খুনিকে। তাদের সাথে ডিল পাকা করে ফেলে আনোয়ার। সুপারির অর্ধেক অর্থ অগ্রিম দিয়ে দেয় সে। তারপর গোপনে তাদের শান্তিনিকেতন ও প্রান্তিকের বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে রাখে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে জানা গেছে, এলাকার জনপ্রিয় নেতা কাজল শেখের রাজনৈতিক কৌশলে বীরভূমে তৃণমূলের প্রভাব দিনে দিনে আরও বাড়তে শুরু করছে। তাছাড়াও বীরভূম এক যোগে অনুব্রত মন্ডল ও কাজল শেখ দলীয় কাজ করে যাচ্ছেন। তৃণমূলকে থামাতে এমন কিছু করার পরিকল্পনা ছিল বলে ধারনা তাদের। আর এক এলাকাবাসী জানান, লকডাউনে সময় থেকে জেলা সভাপতির নির্দেশে কাজল শেখ হাজার হাজার মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিয়ে এলাকার রাজনৈতিক মোড় ঘুরিয়েছেন। কাজল শেখকে রাজনীতি থামিয়ে দিতে তাকে খুনের ছক কষেছিল বলে ধারনা তার। তিনি বলেন, একসময় কাজল শেখের পরিবার সদস্যদের হত্যা করেছিল কিছু দুস্থিত। সেই মামলার আসামীরা এখন জেল খাটছে। তাছাড়া ওই ঘটনার পর থেকে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায় কাজল ও আনোয়ার। তৃণমূল নেতা কাজল শেখকে খুন করে গ্রামে ঢোকার ছক কষেছিল বলে ধারনা তার। তবে তাদের সব প্রচেষ্টা বানচাল করছে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে বীরভূম জেলা পুলিশ।
0 Comments: